ইস্পাত কঠিন দল জার্মানি। যারা প্রতিপক্ষের হাসি কেড়ে নিতে সিদ্ধহস্ত। নিজেদের দিনে নস্যাৎ করে দেন সকল সমীকরণ। এসব এখন রূপকথার গল্প মনে হচ্ছে। বিষফোঁড়া হয়ে জ্বালাতন করছে জার্মান ভক্তদের! বিধ্বংসী সেই জার্মানদের হারিয়ে খুঁজছে বিশ্লেষকরা।
কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকার বলেছিলেন, ফুটবল এমন এক খেলা, যেখানে বলের পেছনে ২২ জন দৌঁড়ায় কিন্তু জেতে জার্মানি! অথচ এই দলটাই পরপর দু’টো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছে। তা-ও ২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে। অবশ্য, আসর শুরুর আগেই জার্মানদের বিদায় দেখেছিল অনেকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক বিবৃতি বলছে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসেন গ্র্যাসেন্তে কিছুদিন আগে বিশ্বকাপ থেকে জার্মানির বাদ পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে। তাদের জরিপে সম্ভাবনার হার ছিল ৪১ শতাংশ! অনেকে আবার দুষছেন জার্মানির রক্ষণভাগকে। বিশ্বকাপে জাপানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ভালোই নজরে আসে ডিফেন্সের ফাঁকফোকর। সুযোগ নিতে ভুল করেনি জাপান।
বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে কোস্টারিকাকে বড় ব্যবধানে হারাতে হতো। ম্যাচের আগে কোচ হ্যানসি ফ্লিক সেই কথা বলেওছিলেন। ৪ গোল দিয়েছে বটে জার্মানি, খেয়েছে জোড়া গোল! জাপানের সঙ্গেও খেয়েছে দুই গোল। স্পেনের সঙ্গে ১-১ ড্র। তিন ম্যাচে ৫ গোল খেয়েছে। আক্রমণভাগও যে খুব আহামরি খেলেছে, তেমনটি নয়। কোস্টারিকার বিপক্ষে ৪ গোল বাদ দিলে প্রথম দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে মোটে দুই গোল দিতে পেরেছে, পারেনি ম্যাচ বের করতে।
১৯৩৮ বিশ্বকাপে প্রথমবার প্রথম রাউন্ডে বাদ পড়ে জার্মানি। তারপর ৮০ বছর বাদে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের লজ্জা পায় তারা। প্রথম থেকে দ্বিতীয়ের মাঝে আট দশক লাগলেও, দ্বিতীয় থেকে তৃতীয়বার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের লজ্জা জার্মানরা পায় পরের আসরেই! যার দায়ভার নিজেদেরই।