ফুটবলে একটি কথা প্রায় শোনা যায়। মধ্যমাঠ যার, ম্যাচ তার। কাতার বিশ্বকাপে প্রতি ম্যাচে ব্রাজিল মধ্যমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখেছে। তাতে গ্রুপ পর্বে দারুণভাবে সফলও হয়েছিল।
ক্যাসেমিরো দারুণভাবে মিড সামলে এক সুতোয় গাঁথেন দলকে। ব্রাজিলের মধ্যমাঠ সুরক্ষিতই ছিল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগ পর্যন্ত!
তবে, গতকাল রাতে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হতাশ হয় ব্রাজিল। রোমাঞ্চ, উত্তেজনায় ভরপুর ম্যাচে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ব্রাজিল হেরে গেছে গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার কাছে। টাইব্রেকারে রদ্রিগোর বল বাঁচানোর পাশাপাশি পুরো ম্যাচে দারুণ সব সেভ করে জাল আগলে রাখেন ক্রোয়াট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ।
ক্রোয়েশিয়া দলে নায়ক আছেন আরেকজন। যিনি বরাবরের মতো নিভৃতে নিজের কাজ চালিয়ে যান। এতটা সুচারুভাবে করেন, তাকে নিয়ে আলোচনা উঠতে বাধ্য। তিনি লুকা মদ্রিচ। ক্রোয়েশিয়ার অধিনায়ক ও দলের অবিসংবাদিত সেরা তারকা।
ব্রাজিলের বিপক্ষে গোটা ১২০ মিনিট মধ্যমাঠের দখল রেখেছেন মদ্রিচ। উপর থেকে নিচ, একই সরলরেখায় চালান দলকে। মধ্যমাঠ জুড়ে দারুণ দাপট দেখান
বয়স ৩৭। এই বয়সে ম্যাচের অর্ধেক সময় মাঠে থাকাটাই অনেক। অথচ মদ্রিচ জাপানের বিপক্ষে খেলেছেন ৯৯ মিনিট, ব্রাজিলের সঙ্গে ছিলেন পুরো সময় জুড়ে। পেনাল্টি শ্যুটআউটেও ঠাণ্ডা মাথায় করেছেন লক্ষ্যভেদ। তাকে জাদুকর না বললে যে অবিচার হবে। তার পায়ে বলের ছোঁয়া মানে জাদুর স্পর্শ।
এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাল রাতে যে শো’র মঞ্চায়ন করলেন লুকা মদ্রিচ, সেখানে বল তার পায়ে লুটিয়েছে ১৪০ বার। ১১৫ টি পাস দিয়েছেন সতীর্থদের, ১০৫টিই নির্ভুল। ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসেও এভাবে দুরন্ত গতিতে ছুটে চলা মদ্রিচ তার দলের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।