আরাধ্য বিশ্বকাপ থেকে দুই পা দূরে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে যেখানে সমীকরণের মারপ্যাঁচ, সেখানেই তাদের নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল অনেক। সব চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আলবিসেলেস্তেরা এখন শেষ চারে। সেখানে জিতলে পৌঁছাবে ফাইনালে। সেই ফাইনালে পৌঁছানোর ভবিষ্যৎ নিয়ে আর্জেন্টিনার ভক্তদের চিন্তার অন্ত নেই। যদিও ইতিহাস বলছে—সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে আর্জেন্টিনাই জিতবে।
এবার নিয়ে মোট পাঁচবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। এর আগের চারবারের একবারও সেমি থেকে বিদায় নেয়নি লাতিন এই পরাশক্তিরা। আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে ওঠা মানে ফাইনাল নিশ্চিত!
আর্জেন্টিনা প্রথমবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলে ১৯৩০ সালে, প্রথম আসরেই। উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত আসরে সেমিতে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পাত্তা পায়নি তারা। আর্জেন্টিনা ছেলেখেলা করে মার্কিনিদের নিয়ে। জয়লাভ করে ৬-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে।
পরেরবার লম্বা বিরতি দিয়ে ১৯৮৬ বিশ্বকাপে শেষ চারে জায়গা করে নেয় আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোতে হওয়া ‘৮৬ বিশ্বকাপ মানে ম্যারাডোনা। সেমিতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে তার জোড়া গোলে ২-০ তে জেতে আলবিসেলেস্তেরা।
পরের বিশ্বকাপেই আবার সেমিতে ওঠে আর্জেন্টিনা। স্বাগতিক ইতালির সঙ্গে নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র থাকায় ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। পেনাল্টি শ্যুটআউটে আর্জেন্টিনা ৪-৩ ব্যবধানে জয় পায়।
টানা দুই আসরে সেমিফাইনালে খেলা আর্জেন্টিনা যেন ঝিমিয়ে পড়ে এরপর। ২০১৪ বিশ্বকাপে ফের সেমিতে ওঠে মেসিরা। ব্রাজিলে হওয়া আসরে সেমিতে আর্জেন্টিনা মোকাবেলা করে নেদারল্যান্ডসের। ১২০ মিনিট গোলশূন্য থাকার পর ট্রাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জেতে মেসিবাহিনী।
ভাবছেন, ১৯৭৮ বিশ্বকাপ কই গেল? আর্জেন্টিনা প্রথম বিশ্বকাপ তো ‘৭৮ এই জেতে। ১৯৭৮ এর আসরের ফরম্যাট ছিল ভিন্ন। আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত সেই বিশ্বকাপে প্রথমে ১৬ দল চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে। সেখান থেকে আট দল দ্বিতীয় রাউন্ডে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলে। ওই দুই গ্রুপের সেরা দুই দল ফাইনালে মাঠে নামে। যেখানে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ ছিল নেদারল্যান্ডস।