স্পোর্টস ডেস্ক :
কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া বনাম মরক্কোর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল হয়েছে ৩টি। ৩ গোলের প্রথমার্ধে ২-১ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে গেছে লুকা মদ্রিচের দল।
খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ৩ মিনিটের মাথায়ই গোল হজম করতে পারত মরক্কো। এ সময় আক্রমণে উঠলেও ক্রোয়েশিয়া বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ডি বক্সের ভেতর বল সতীর্থকে পাস দেন মরক্কোর এক ডিফেন্ডার। সেই ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল যায় গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনোর কাছে। বোনো পোস্টের ডান প্রান্ত থেকে বল বাড়িয়ে দেন বাঁ প্রান্তে থাকা আরেক সতীর্থকে। সেই বল একটুর জন্য পোস্টের ভেতর দিয়ে যায়নি।
৭ মিনিটের সময় লিড নিয়ে নেয় ক্রোয়েশিয়া। ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে লুকা মদ্রিচের নেয়া ফ্রি-কিকে হেড নেন ইভান পেরিসিচ। সেই বলে আবার হেড দেন গভার্দিওল। বুলেট গতির হেডে বল মরক্কোর জালে প্রবেশ করে। ক্রোয়েশিয়া শিবিরে তখন উল্লাসের চিৎকার। এগিয়ে গেলেও লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। দুই মিনিট পরই সমতায় ফেরে মরক্কো। হাকিম জিয়েশের ফ্রি-কিকে ক্রোয়াট এক খেলোয়াড়ের গায়ে বল আসে আশরাফ দারির সামনে। মুহূর্তেই হেডে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
এরপর অনটার্গেটে শটটি হয় ম্যাচের ২৪ মিনিটে। ডি বক্সের সীমানা থেকে কাটিয়ে বলে শট নেন মদ্রিচ। মরক্কোর রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের পায়ের নিচ দিয়ে বল চলে যায় সোজা বোনোর দিকে। কিন্তু মরক্কান গোলরক্ষক বল তালুবন্দি করতে পারেননি, তার গায়ে লেগে সেটি চলে যায় ইভান পেরিসিচের সামনে। দ্রুত সেই বলে হাত লাগিয়ে দলকে বাঁচান বোনো
৩০ মিনিটে সুযোগ এসেছিল মরক্কোর সামনে। কিন্তু ঠিকটাক সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ৩৭ মিনিটে একটুর জন্য চেষ্টা বিফলে যায় জিয়েশের। কর্নার কিক থেকে নেয়া শটে তার বলে আলতো মাথা ছোঁয়াতে পারলেই এগিয়ে যেত পারত মরক্কো। কিন্তু সুফিয়ান বোফাল লাফালেও বলের নাগাল পাননি। ৪২ মিনিটে উল্টো আরও একটি গোল হজম করে তারা। এ সময় ডি বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে ভাসিয়ে দেয়া শটে জাল খুঁজে পান মিসলাভ অরসিচ