স্পোর্টস ডেস্ক :
২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ আগামীকাল রবিবার। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের মধ্যে এবারের শিরোপা নির্ধারণীর এই খেলা লুসাইল স্টেডিয়ামে হবে। স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ৮৮ হাজার মানুষের।
কিন্তু এই ম্যাচের টিকিট পাওয়া যেন সোনার হরিণ হয়ে গেছে। টিকিকের জন্য হাহাকার পড়ে গেছে। সেই টিকিট পাওয়ার আশায় শত শত আর্জেন্টিনার ভক্ত মরিয়া। তারা ইতোমধ্যে ফিফার প্রধান টিকিট অফিসের বাইরে জড়ো হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ভক্তরা শুক্রবার বলেন, ‘তারা ফিফার অফিসিয়াল বিক্রয় ও পুনঃবিক্রয় প্ল্যাটফর্মে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন।’ তারা এও যোগ করেন যে, ‘টিকিট কিনতে না পারা পর্যন্ত তারা সেই জায়গা ছাড়বেন না।’
দোহার প্রধান টিকিট অফিসে আসা ম্যাটিয়াস নামে একজন আর্জেন্টিনার ভক্ত বলেন, ‘আমরা জানি, নিজেদের দল ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রাজিল, পর্তুগাল ও মরক্কোর সমর্থকদের প্রচুর টিকিট ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আমরা জানি না সেই টিকিটগুলো কোথায় গেছে।’
টিকিট বিক্রির প্রধান কার্যালয়ের প্রবেশপথে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকেরা। যারা নিজেদের ইলেকট্রনিক টিকিট প্রিন্ট করতে চান শুধু সেই ভক্তদেরই ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দোহারে একটি হোটেলের বাইরেও একই রকম দৃশ্য দেখা যায়। যেখানে আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিকিট অফিসের একজন কর্মী বলেন, ‘আমরা তাদের (আর্জেন্টিনার ভক্তদের) বলেছি যে, আমাদের কাছে কোনো টিকিট নেই। তবে তারা এখনো এখানে অবস্থান করছেন।’
চার ঘণ্টা ধরে টিকিট অফিসের বাইরে থাকা মাতিয়াস নামের এক ভক্ত বলেন, ‘আমরা এখানে অবস্থানের মাধ্যমে ফিফা ও আয়োজক দেশের প্রতি সৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। আমরা যদি এখানে থাকি এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করি তাহলে কিছু হতে পারে। কিন্তু আমরা চলে গেলে কেউ আমাদের কথা শুনবে না।’
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ফিফার অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মের বাইরে টিকিট পুনঃবিক্রয় সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুরো বিশ্বকাপজুড়ে ও ফাইনালের জন্য কয়েক হাজার টিকিট অবৈধভাবে বিক্রি হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ এই ফাইনাল দেখার জন্য ভক্তদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। সম্ভবত আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির এটিই ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ।
এ অবস্থায় কালোবাজারে টিকিটের দাম আট গুণ পর্যন্তও নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
এ ধরনের শত শত রিসেলার রয়েছেন। তাদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন টিকিট অফিসের বাইলে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে ৩ হাজার ৬৫০ কাতারি রিয়ালের (১ হাজার মার্কিন ডলার) টিকিট ১০ হাজার রিয়ালে (২ হাজার ৮০০ ডলার) অফার করতে দেখা গেছে।
টিকিট বরাদ্দ, বিতরণ ও পুনঃবিক্রয় সম্পর্কে আল জাজিরা মন্তব্য নিতে চাইলেও ফিফা এ বিষয়ে কিছু বলেনি।