স্পোর্টস ডেস্ক :
ফুটবল খেলা যতটা মাঠের, তার চেয়ে বেশি মাঠের বাইরের। সহজ করে বললে, ফুটবল যতটা শারীরিক খেলা, তার চেয়ে বেশি কৌশলের। ফাইনাল ৯০ মিনিটে মেসি-এমবাপ্পেরা যখন মাঠে দৌড়াবেন জয়ের জন্য, ডাগআউটে তখন কৌশল আওড়াবেন লিওনেল স্কালোনি ও দিদিয়ের দেশম। যিনি সঠিক সময়ে সঠিক কৌশল আঁটতে পারবেন, সফলতা ধরা দেবে তার হাতেই।
১৯৮৫ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা দিদিয়ের ক্লদ দেশম, খেলোয়াড় জীবনে ছিলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। মার্সেই, জুভেন্টাস, চেলসি, ভ্যালেন্সিয়ার মতো নামী ক্লাবে খেলাই বলে দেয়, কতটা সমৃদ্ধ দেশমের খেলোয়াড়ি জীবন। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন, ১০৩টি ম্যাচ। তার অধিনায়কত্বে ১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে ফ্রান্স। ২০০০ সালে জেতেন ইউরো।
২০০১ সালে মাত্র ৩২ বছর বয়সে বুট তুলে, মোনাকোর হয়ে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন, দ্য ওয়াটার ক্যারিয়ার খ্যাত দেশম। ২০১২ সালের জুলাইতে ফ্রান্স দলের দায়িত্ব নেন দিদিয়ের দেশম। ২০১৪ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ও ২০১৬ তে ইউরোর ফাইনালে তোলেন দলকে। ২০১৮ সালে তার অধীনে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় ফ্রান্স। ইতিহাসে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে, অধিনায়ক ও কোচ ভূমিকায় বিশ্বকাপ জেতার কীর্তি গড়েন দেশম।
বিপরীতে বয়স ও অভিজ্ঞতায় ঢের পিছিয়ে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। রাইট ব্যাক ও রাইট মিডফিল্ডার ভূমিকায় খেলা লিওনেল সেবাস্তিয়ান স্কালোনির পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু ১৯৯৫ সালে নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে। তবে খেলোয়াড়ি জীবনের বেশিরভাগ অংশ কেটেছে, স্পেনের দেপোর্তিভো লা করুণায়। ইতালির আতালান্তা ও লাৎসিওতে খেলেছেন কয়েক বছর। মাত্র সাত ম্যাচে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন স্কালোনি। ছিলেন ২০০৬ বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সদস্য।
২০১৬ সালে সেভিয়াতে হোর্হে সাম্পাওলির সহকারী হিসেবে কোচিং ক্যারিয়ার শুরু স্কালোনির। ২০১৭ সালে সাম্পাওলি আর্জেন্টিনার দায়িত্ব নিলে সেখানেও সহকারী হন তিনি। রাশিয়ায় ব্যর্থতার জেরে সাম্পাওলির বিদায়ে পাবলো আইমারের সঙ্গে প্রথমে তত্ত্বাবধায়ক, পরে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেন স্কালোনি। ২০১৯ কোপা আমেরিকায় তৃতীয় হলেও ২০২১ সালে কোপা জিতিয়ে লে আলবিসেলেস্তেদের ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটান স্কালোনি।