টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। সেই ধাক্কা সামলাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় সাকিব আল হাসানের কাঁধে। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ফরচুন বরিশালকে। প্রথম হারের পর এই নিয়ে টানা তিন জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল।
বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে দ্বিতীয় দিনে মুখোমুখি হয়েছে ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করে বরিশাল। কুমিল্লাকে ছুঁড়ে দেয় ১৭৮ রানের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পার হতে পারেনি তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। ৭ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে তাদের ইনিংস। বরিশাল পায় ১২ রানের জয়। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয় হারের মুখ দেখল কুমিল্লা।
আজ দিনের শুরুতে দ্রুত মেহেদী হাসান মিরাজের উইকেট হারালেও সাকিবের চমৎকার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। পুরো ম্যাচে এক প্রান্ত আগলে রেখে একাই টেনে নেন দলকে। ১৮০ স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত থাকেন ৪৫ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলে। যাতে ছিল ৮ চার ও ৪ ছয়ের মার। সাকিবের দাপুটে ব্যাটিং ও ইব্রাহিম (২৭), চতুরাঙা ডি সিলভার (২১) ছোট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে বরিশাল তোলে ১৭৭ রান। কুমিল্লার পক্ষে ৪ উইকেট শিকার করেন তানভীর ইসলাম।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ওপেনিং জুটিতে দুজন জমা করেন ৪২ রান। রিজওয়ান আউট হলেও লিটন দেখেশুনে খেলছিলেন। কিন্তু দলীয় ৫৭ রানের মাথায় রানআউট হন তিনি। আউট হওয়ার আগে লিটন করেন ২৬ বলে ৩২ রান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাটে বড় ইনিংসের সম্ভাবনা তৈরি হলেও ডি সিলভার বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। এর আগে করেন ১৫ বলে ২৮ রান।
বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কুমিল্লা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে পুরোপুরি নিতে ব্যর্থ হয়। খুশদীল শাহ চেষ্টা করেছেন। অপরাজিত থেকেছেন ২৭ বলে ৪৩ রানে। যাতে ছিল একটি চারের পাশাপাশি ৪টি ছয়ের মার। কিন্তু বাকিদের পর্যাপ্ত সহযোগিতার অভাব জিততে দেয়নি কুমিল্লাকে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস।
ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো সাকিব বল হাতেও এদিন ছন্দে ছিলেন। ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। ডি সিলভা ৪ ওভারে একটি মেডেন ওভারসহ ২৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। সাকিব-সিলভা ছাড়া বাকিরা যার যার জায়গা থেকে ভূমিকা রাখে বরিশালের টানা দ্বিতীয় জয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বরিশাল : ২০ ওভারে ১৭৭/৬। (মিরাজ ৬, বিজয় ২০, ডি সিলভা ২১, ইব্রাহিম ২৭, সাকিব ৮১, ইফতেখার ৫, মাহমুদউল্লাহ ০, করিম ১০* ; তানভীর ৪-০-৩৩-৪, হাসান ৪-০-৩৮-০, নাইম ৩-০-৩৫-১, খুশদীল ৪-০-৩১-১, মুস্তাফিজ ১-০-৩-০, মোসাদ্দেক ৪-০-৩৫-০)।
কুমিল্লা : ২০ ওভারে ১৬৫/৭। (লিটন ৩২, রিজওয়ান ১৮, ইমরুল ২৮, ওয়ালটন ১৪, খুশদীল ৪৩* জাকের ০, মোসাদ্দেক ২৭, হাসান ১, নাইম ১*; সাকিব ৩-০-১১-১, ডি সিলভা ৪-১-২৪-১, কামরুল ২-০-২১-১, সানজামুল ১-০-১০-০, কাজী অনিক ২-০-২২-০, মিরাজ ২-০-২৫-০, করিম ২-০-১৯-০, ইফতেখার ৪-০-৩৩-১)।
ফল : বরিশাল ১২ রানে জয়ী।