বিতর্ক থেকে যেন নিস্তারই পাচ্ছে না এবারের বিপিএল। ঢাকা পর্ব শেষ হয়ে চট্টগ্রামে এসেও সঙ্গী সেই বিতর্ক। মাঠের বাইরের গল্প ছাপিয়ে এখন খলনায়ক আম্পায়াররা। রিভিউ নেই শুরু থেকে, রাখা হয়েছে এডিআরএস। সেটিই উস্কে দিল বিতর্কের নতুন অধ্যায়।
আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতার ঘাটতি দলগুলোর চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। ভুল আম্পায়ারিংয়ের সর্বশেষ বলি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল শনিবার ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয় কুমিল্লা। কুমিল্লার ইনিংসের ১৪তম ওভারে ইফতেখার আহমেদের লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ আউট দেওয়া হয় জাকের আলিকে। আত্মবিশ্বাসী জাকের রিভিউ নেন তখনই।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যাচ্ছিল বলের অর্ধেকের কম অংশ স্টাম্প লাইনে আছে। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে ভেসে আসছিল, সিদ্ধান্ত বদলে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা। অথচ মাঠের আম্পায়ার নিজের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকেন। আউট ঘোষণা করেন জাকেরকে। যা হতভম্ব করে দিয়েছে কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকে। চারদিকে শুরু হয় সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছেন, গতকালের বিষয়টি নাকি বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনই অনুসরণ করেছেন টিভি আম্পায়ার। আউট নিয়ে বিভ্রান্তি থামাতে বিসিবি জানিয়েছে, বিপিএলে বদল আনা হয়েছে আইসিসির আইন।
আইসিসির আইন অনুযায়ী, বলের বেশির ভাগ অংশ বা বলের অন্তত ৫১ ভাগ স্টাম্পের লাইনে থাকলে সেটিকে ‘ইন লাইন’ বলে ধরে নেওয়া হবে। কিন্তু বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশনে সেটা বদলে দেওয়া হয়েছে। বিপিএলের আইন অনুযায়ী, ‘ইন লাইন’ হিসেবে বিবেচনার জন্য বলের সামান্য কোনো অংশ লাইন স্পর্শ করলেই হবে।
বিসিবির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুসারে, ডি১-এর ৬.৪.৩.৩ ধারা অনুযায়ী, বলের কোনো অংশ স্টাম্প লাইন স্পর্শ করলেই তাকে ‘ইন লাইন’ বলে ধরে নেওয়া হবে।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপকভাবে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে আলোচনা।