এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই দুর্দান্ত সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা পর্ব থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্ব—দুটোতেই জয়ের ছন্দে ছুটে চলছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট। নিজেদের জয়ের ছন্দ ধরে রেখে এবার ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
আজ সোমবার চট্টগ্রামে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা ডমিনেটর্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুতে ব্যাটিং করে বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয় ঢাকা। তাদের করা মাত্র ১২৮ রান সহজেই টপকে যায় সিলেট। চলতি আসরে উড়তে থাকা সিলেট চার বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পায়। ১৯.২ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৪ রান।
দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ঢাকার সৌম্য সরকার। দলীয় ১ রানে নিজের রানের খাতা খোলার আগেই রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হন। দলকে বিপদে ঠেলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে দিলশান মুনাবিরা ও উসমান ঘানি মিলে ৩২ রান জমা করেন স্কোরবোর্ডে। ১৭ রান করে আউট হন দিলশান, উসমান খেলেন ২৮ বলে ২৭ রানের মন্থর ইনিংস।
শূন্য রানে আউট হন রবিন দাস। আরেক ব্যাটার মোহাম্মদ মিঠুন খেলেন ২৩ বলে ১৫ রানের অতি ধীরগতির ইনিংস। ঢাকার রান ১২৮ পর্যন্ত যেতে পারে অধিনায়ক নাসির হোসেনের ৩১ বলে ৩৯ রানে ভর দিয়ে। রানআউটের শিকার না হলে আরও বড় হতে পারত তার সংগ্রহ, সঙ্গে দলেরও। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১২৮ রানে থামে ঢাকা।
সিলেটের পক্ষে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন ইমাদ ওয়াসিম। একটি করে উইকেট পান রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ আমির ও নাজমুল ইসলাম।
১২৯ রানের লক্ষ্য বড় কিছু নয়। বিশেষত ছন্দে থাকা সিলেটের জন্য। ৫২ রানের ওপেনিং জুটিতে কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩২ বলে ৪৪ রান করে ওপেনার মোহাম্মদ হারিস খুলে দেন জয়ের পথ। তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, নাসির হোসেনরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চেষ্টা করেছিলেন লড়াইয়ের। কিন্তু পারেননি সিলেটকে থামাতে।
তাসকিন ৪ ওভারে দেন মাত্র ১২ রান, পান ১ উইকেট। আরাফাত সানি ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ১ উইকেট ও নাসির ৪ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট শিকার করেন।
কিন্তু মুশফিকুর রহিমের ২৫ বলে ২৭ রান ও থিসারা পেরেরার ১১ বলে ২১ রানের ক্যামিওতে ভর দিয়ে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান তুলে জিতে যায় মাশরাফীর সিলেট। বল হাতে ২০ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১১ রান করা ইমাদ ওয়াসিম পান ম্যাচসেরার পুরস্কার।