দাপুটে বোলিংয়ে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল-মুস্তাফিজরা। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে বেধে দেন অল্প রানে। মাত্র ১২৬ রানের সহজ লক্ষ্য ছুঁতে তেমন বেগ পেতে হলো না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। সহজ জয়ে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনালে পা রাখল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
আজ রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) চলতি আসরের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে হারলেও ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যায়নি সিলেটের। ফাইনালে যাওয়ার জন্য আরেকটি সুযোগ পাবে তারা। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এলিমিনেটর পার করে আসা রংপুরের মুখোমুখি হবে সিলেট। ওই ম্যাচে জিততে পারলেই মাশরাফীরা পাবেন ফাইনালের টিকেট। টুর্নামেন্টের ফাইনাল গড়াবে ১৬ ফেব্রুয়ারি।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ১৭.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১২৫ রান তুলেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
জবাব দিতে নেমে ১৬.৪ ওভারে জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের জয়ের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন সুনিল নারিন। ১৮ বলে তার ইনিংস সাজানো ছিল ৪ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারি।
রান তাড়ায় দারুণ শুরু করে কুমিল্লা। দুই ওপেনার লিটন দাস ও নারিন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৩২ রান। রুবেলের বলে লিটন ফিরলেও চার-ছক্কায় রানের গতি সচল রাখেন নারিন। তিনি ফিরলে বাকিদের নিয়ে জয়ের নাগাল পেয়ে যায় কুমিল্লা। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা করে ১৩০ রান। দলের হয়ে মঈন আলি করেন ২১ রান। সৈকত খেলেন ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। শেষ দিকে নেমে ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল।
এর আগে ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় কুমিল্লা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। দলীয় ৬ রানে হারায় ওপেনার শরিফুল্লাহ গাফারিকে। ৫ রানে গাফারিকে নিজের শিকার বানান আন্দ্রে রাসেল। একই ওভারে রান আউটে কাটা পড়েন ছন্দে থাকা তৌহিদ।
জোড়া ধাক্কার মাঝেই মঈন আলি বিদায় করেন চারে নামা জাকির হাসানকে। দলীয় ১৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় সিলেট।
সেই চাপ কাটাতে আগেই ব্যাটিংয়ে নেমে যান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফী। নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক। দুজন মিলে তোলেন ৫৭ রান। দশম ওভারে এই জুটি ভাঙেন রাসেল। ফেরান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফীকে। দুটি করে ছক্কা-চারে ১৭ বলে ২৬ রান করে বিদায় নেন সিলেট অধিনায়ক।
মাশরাফীর বিদায়ের পর টিকতে পারেননি শান্তও। পরের ওভারেই উইকেট হারান তিনি। তানভির ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি ওপেনার। ফেরার আগে ৪ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ২৯ বলে করেন ৩৮ রান।
এরপর মুশফিকুর রহিম কিছুটা লড়াই করলেও থিতু হতে পারেননি। কুমিল্লার বোলারদের দাপটের সামনে বড় জুটি গড়তে পারেনি সিলেট। মুশফিক ২৯ রানে সাজঘরে ফিরলে শেষ পর্যন্ত সিলেট থামে ১২৫ রানে।
বল হাতে কুমিল্লার হয়ে ৩০ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তানভির। ২২ রান দিয়ে আন্দ্রে রাসেলের সংগ্রহ দুই উইকেট। সমান দুটি উইকেট নেন মুস্তাফিজও। মঈন আলি নেন এক উইকেট।