টিকেট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। অথচ ভেতর থেকে বলা হচ্ছে—সব টিকেট শেষ! বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের আগের দিনের ঘটনা এটি। এতটুকু চিত্র দেখে বোঝা যেতে পারে হয়ত, ম্যাচের সব টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।
কিন্তু ম্যাচের দিন মাঠে প্রবেশ করে দেখা গেল তার উল্টো চিত্র। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দুপুর ১২টায় মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। ম্যাচ যখন মাঠে গড়ায় তখন ভিআইপি স্ট্যান্ড ছাড়া বাকি গ্যালারিগুলো জুড়ে ছিল হাহাকার। বেলা বাড়তে অন্যান্য গ্যালারিতে কিছুটা দর্শক বাড়লেও বেশিভাগ অংশ জুড়েই ছিল শূন্যতা।
বিশেষ করে সর্বনিন্ম দামের ২০০ টাকা দামের ইস্টার্ন স্ট্যান্ড গ্যালারির দিকে তাকালে বোঝার উপায় নেই যে এটা—হোম অব ক্রিকেট! যেখানে প্রতিটি ম্যাচেই উপচে পড়া ভিড় থাকার কথা সেখানে শুধুই হাহাকার। বেলা বাড়তে কিছুটা সিট পূরণ হলেও বেশিভাগ জুড়েই ফাঁকা।
এক দর্শকের কাছে টিকেট সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানালেন, কাউন্টারে কোনো টিকেট পাননি তিনি। তবে কাউন্টারের সামনেই কালোবাজারিদের কাছ থেকে দ্বিগুণ দামে টিকেট সংগ্রহ করেছেন তিনি।
আরেক দর্শক বললেন, ‘কাউন্টারে কোনো টিকেট নেই। অথচ গেটের সামনে অনেকেই টিকেট বিক্রির জন্য ঘুরছেন। তাদের কাছ থেকেই বেশি দামে টিকেট কিনেছি। বাংলাদেশের খেলা দেখার জন্য এই কষ্টটা করতে হলো।’
সব মিলিয়ে বোঝা গেল, টিকেট বেশিরভাগ কালোবাজারিদের হাতে চলে যাওয়াতেই গ্যালারি জুড়ে এত শূন্যতা। অনেকেই গতকাল ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পাননি দুটি টিকেট। অথচ আবার কেউ কেউ টিকেট হাতে নিয়ে ঘুরছেন বিক্রি করবেন বলে! এভাবেই দর্শকদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা। সেই সঙ্গে শেরেবাংলা হারিয়েছে তার চেনা রূপ।
অনলাইনে সুযোগ না থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কিনতে হচ্ছে ক্রিকেট ভক্তদের। মোট ৫ ক্যাটাগরিতে টিকেট কিনতে পারছেন সমর্থকরা। টিকেট পাওয়ার স্থান মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম।
টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ২০০ আর সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে ১৫০০ টাকা। মিরপুর শেরেবাংলায় গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড টিকেটের মূল্য ১৫০০ টাকা, ভিআইপি ১০০০, ক্লাব হাউজ ৫০০ টাকা, সাউথ স্ট্যান্ড ৩০০ ও ইস্টার্ন স্ট্যান্ড ২০০ টাকা।