জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটের ওপরের স্তরে সবুজ ঘাসের অস্তিত্ব আছে। তা দেখে কেউ কেউ ভাবছেন সেই সবুজ পিচেই বুঝি খেলা হবে। আসলে তা নয়। সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচে এখন যে ঘাস আছে, সেটা শেষ পর্যন্ত থাকবেই- তার নিশ্চয়তা নেই।
শেষ পর্যন্ত পিচে ঘাস থাকবে কি, থাকবে না- তা নির্ভর করবে আসলে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের ইচ্ছে ও গেমপ্ল্যানের ওপর। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু চাইলেই ঘাসের উইকেটে খেলা হবে। আর তারা না চাইলে ঐ ঘাস থাকবে না, কেঁটেছেঁটে ন্যাড়া করে ফেলা হবে।
ভেতরের খবর, ঐ ঘাস শেষ পর্যন্ত নাও থাকতে পারে। কারণ আগে যাই বলা হোক না কেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশ ঘাসের পিচে খেলার ঝুঁকি নেবে না। ঘাসের পিচে খেলার জন্য যেমন ধারালো ফাস্ট বোলিং আক্রমণ থাকা দরকার- বাংলাদেশের তা নেই।
এছাড়া টেস্টের জন্য টাইগার স্কোয়াডে পেসারও থাকবেন অল্প কজন। বড় জোর তিনজন। আর বিপরীতে অন্তত একগাঁদা স্পিনার থাকবেন। যার সংখ্যা চারের কম নয়। জানা গেছে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ বাংলাদেশের ১৫ সদস্যর বহরে অন্তত চারজন স্পিনার থাকবেন। যেহেতু কোন লেগস্পিনার নেই, তাই ঘুরে ফিরে বাঁহাতি আর অফস্পিনার দিয়েই স্পিন ডিপার্টমেন্ট সাজাতে হবে।
আর নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট কায়মনে চাচ্ছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে রেখে সাতে আরও অন্তত তিন স্পিনার রাখতে। বলার অপেক্ষা রাখে না, সাকিবের সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে অটেমেটিক চয়েজ থাকবেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
তাদের সঙ্গে দুজন অফস্পিনারের দলে থাকাও মোটামুটি নিশ্চিত। একজন মেহেদি হাসান মিরাজ আর অন্যজন নাইম হাসান। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, আজ বাদে কাল ৩০ আগস্ট (শুক্রবার) দল চূড়ান্ত হবে। আফগানিস্তানের সঙ্গে একমাত্র টেস্ট খেলার জন্য ১৫ জনকে বেছে নেয়া হবে কালকের মধ্যে। দল সাজানো আর ক্রিকেটার বাছাইয়ের জন্য আজই খুলনা থেকে রাজধানী শহরে ফিরে আসছেন আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। তার সঙ্গে বসে সম্ভবত আজই দল চূড়ান্ত করে ফেলবেন নির্বাচকরা।
আজ সকালে আলাপ করলেও দল গঠন আর ক্রিকেটার মনোনয়ন নিয়ে একটি কথাও বলেননি। সেটা পরিবেশ-পরিস্থিতিগত কারণেই বলেননি। তবে তার কথায় কিছু আভাস মিলেছে। আর তাতেই বোঝা গেছে দলে থাকবেন চার স্পিনার ও তিন পেসার। অর্থাৎ স্পিনারের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে মাঠে নামার চিন্তা ভাবনা চলছে। আর বাংলাদেশ যখন স্পিনারদের শক্তির ওপর ভর করে নামার কথা ভাবছে, সেখানে ঘাসের বা পেস সহায়ক উইকেটে খেলা হবার প্রশ্নই আসে না।
তার মানে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের পিচে ঘাস থাকবে না। খেলা হবে সাগরিকার চির চেনা উইকেটে। যেখানে ওপরের স্তরের এই সবুজ ঘাসের অস্তিত্ব থাকবে না, থাকলেও খুব কম। নামমাত্র ঘাস। এই পিচ শুরুতে থাকবে ব্যাটিং সহায়ক। তার পর যত সময় গড়াবে, ততই ধীর হতে থাকবে। একটু আধটু টার্নও করবে। আর তাই ১৫ জনের দলে ৪ স্পিনার থাকবেন। হয়ত খেলতেও পারেন সবাই।