ভোলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের ১২ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করেন।
অপহ্নিত শিক্ষার্থীর নাম শান্তা আক্তার (১৫)। সে রাজাপুর ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ডের শাহেজল বেপারি বাড়ির মোঃ শাহেজল বেপারির প্রথম মেয়ে বলে জানা গেছে। ওই শিক্ষার্থী এবার শান্তির হাট ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
অপহরণকারির নাম মোঃ মামুন (২২)। সে একই ওয়ার্ডের আহাম্মদ মুন্সির ছেলে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও অপহ্নিত শিক্ষার্থীর পরিবারের ভাষ্য মতে, ২৭ জানুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে মামুন নামে স্থানীয় এক বখাটে যুবক অপহরণ করেন। রাত সাড়ে দশটার দিকে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার মামুনের নাম উল্লেখ করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
সারারাত স্বজনরা খোঁজার পর মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন স্বজনরা।
সরেজমিন ওই অপহরণকারির বাসায় সাংবাদিক আসার খবর পেয়ে দেড়মাস আগে ওই অপহরণকারি একই এলাকার আরেক শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীর পরিবার জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের দৌরাত্ম্য কারণে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার উপযুক্ত বিচার পায়নি বলে আপেক্ষ শিক্ষার্থীর পরিবারের। শিক্ষার্থী জানান, এখনো সে অনেক ভয়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসে। প্রেমে রাজি না হইলে ওই শিক্ষার্থীকে এসিড নিক্ষেপ করে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দিয়েছে ওই বখাটে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ওই অপহরণকারির বাসায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান তাদেরকে ঘর বন্ধ করে অন্য কারো বাড়িতে চলে যেতে বলেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁ জানান, অভিযুক্ত অপহরণকারির সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান অভিযুক্ত অপহরণকারির সন্ধান এখন পর্যন্তু পাওয়া যায়নি।