নিজস্ব প্রতিবেদক:
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪ ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনার কয়েকঘন্টার মাথায় এবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে এক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে ঘটা এ ঘটনায় বুধবার (২৬ ফেব্রয়ারি) সভা ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা।
নির্যাতনের শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের মাষ্টার্সের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, ঘটনার আগ মুহুর্তে তিনি শেরে বাংলা হলের ৪০১৬ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলো। ওইসময় ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শান্ত রুমের ভেতরে প্রবেশ করে এবং জরুরী কথা আছে বলে তাকে হলের ১০০১ নম্বর রুমে নিয়ে যায়। ওই রুমের ভেতরের প্রবেশের সাথে সাথে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তার মুখ বেধে মারধর ও নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করেন শাহজালাল।
শাহাজালালের দাবি তখন ওইরুমে চারজন পরিচিতো সহ একই বয়সের অপরিচিতো আরো কয়েকজন হাতে রড ও ধারলো অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছিলো। যাদের নিজেদের মধ্যে কথোপকথন চলার একফাঁকে তিনি(শাহজালাল) দৌড়ে পালিয়ে ৪০১৪ নম্বর রুমে গিয়ে আশ্রয় নেয়। ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে অভিযুক্তরা শাহজালালকে আনতে গেলে অপর শিক্ষর্থীরা তাতে বাধা দেয়।
শাহজালাল জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলের কক্ষ পরিবর্তন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমীদ জামান নাভিদ ও সাঈদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। যেখানে সাঈদ গ্র“পের চারজন আহত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তিও হয়। এর জ্বের ধরেই সাঈদের পক্ষের লোকজন তার ওপর নির্যাতন চালায়।
এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন শাহাজালের সহপাঠিরা। আর শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট মোঃ ইব্রাহিম মোল্লা জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বুধবার দিনের বেলা এ বিষয়ে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার বিকেলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগের কর্মী ফাতাউর রাফি, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জাহিদ ওরফে জিদান, ফারহান শাহরিয়ার ও উচ্ছাস আহত হয়। যাদের মধ্যে তিনজনকে বিকেলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা জানান, ঘটনার সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ছিলেন। ওইসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও প্রতিপক্ষ গ্রুপের তাহমীদ জামান নাভিদের নেতৃত্বে বেশকিছু অপরিচিতো যুবক বিকেলে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস জানান, আধিপত্য কিংবা ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের কোন বিষয় নেই এখানে। আবাসিক হলের সিটকে কেন্দ্র করে দুটি সেশনের ছাত্রদের মধ্যে ঝামেলা। যে কারনে আজকের এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।