পার্থ প্রতীম:
বিশ্বে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার প্রায় ১০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। বিশ্বের প্রায় ১৯০ টি দেশের প্রায় ৪ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে নভেল করোনাভাইরাসে, মারা গেছে ১৬ হাজারের অধিক । ইতিমধ্যেই বিশ্ব মহামারী হিসেবে ভাইরাসটিকে চিহ্নিত করে বিশ্ব মহামারী হিসেবে ঘোষনা করেছে বিভিন্ন সংস্থা।
তবে এই মহামারী অর্থাৎ নভেল করোনা ভাইরাসে বিশ্ব অর্থনীতি ধাবিত হচ্ছে হুমকির মুখে। অন্তত বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাভাব দেখা যাবে এক থেকে দুবছর অথবা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে। মুলত ভাইরাসের প্রভাব কতদিন কাজ করে তার উপর নির্ভর করতে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ করোনা ভাইরাসে আক্তান্ত হওয়ায় বিশ্ব বানিজ্য প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। যার ফলস্বরূপ বিশ্ব বানিজ্য আজ হুমকির মুখে।
ভাইরাসের প্রভাবে খাদ্যপণ্য ব্যতিত বিশ্বব্যাপী প্রতিটি সেক্টরে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে চরম ভাবে। এছাড়াও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উৎপাদন ব্যবস্থা প্রতিদিন হ্রাস পাচ্ছে। যার ফলে দিন দিন সংঙ্কটাপন্ন বিশ্ব অর্থনীতি। বিশ্ব অর্থনীতির উরতি চালিকা শক্তি চিন থেকে মহামারী শুরু হয় নভেল করোনা ভাইরাসে। বর্তমানে বিশ্বে করোনা ভাইরাসে চিন মৃত্যুতে রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে ও প্রথম অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি এছাড়াও পৃথিবীর অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তির প্রত্যেক দেশই সংক্রামিত, চিনে সংক্রামন ও মৃত্যের সংখ্যা কমে আসলেও অর্থনীতির উচ্চতর শক্তিশালী দেশ গুলোর অবস্থা প্রতিদিনই খারাপ হচ্ছে। যার ফলে নিম্ন আয়ের দেশ গুলোর ক্রেতা শুন্য হচ্ছে প্রতিদিন যার ফলে অর্থনৈতিক ভাবে প্রতিদিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো। যার ফলে অর্থনৈতিক মন্দা ভাব দেখা দেবে নিম্ম আয়ের দেশগুলোতে। এক কথায় বলা যায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পরতে পারে নিম্ন আয়ের দেশগুলো।
তবে নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে যদি ভাইরাসের চরম প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তাতে যদি খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যহত হয় তাহলে নিম্ন আয়ের দেশ গুলোতে দেখা দিতে পারে দুর্ভিক্ষ। যার প্রস্তুতি সরূপ নিম্ন আয়ের দেশ গুলোর প্রতিকারে ব্যবস্থা এখনি নেয়া প্রয়োজন। যেহেতু উচ্চ আয়ের দেশ গুলোর অবস্থা ভাইরাসে নাজেহাল তাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কমেছে ক্রয় ক্ষমতা ও উৎপাদন ক্ষমতা এর ফলে বিশ্ব বানিজ্য তাদের কমে যাওয়ার দেখা দিবে অর্থনৈতিক মন্দাভাব। যদিও তারা অর্থনৈতিক ভাবে সয়ংসম্পুর্ন দেশ তাদের খাদ্যশস্যে ঘাটতি দেখা দিলে তারা তা অর্থনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে পারবে।
তবে যদি চিনের উহান বা ইতালির লমবার্দির মত প্রতিটি দেশের প্রতিটি রাজ্যের অবস্থা এমন হয় তবে খাদ্য সংকটে তারাও পরতে পারে ফলে দেখা দেবে অর্থনৈতিক সংকট। এর ব্যবস্থা সরূপ পৃথিবীতে জুড়ে প্রয়োজনে লক ডাউন করে খাদ্যশস্য উৎপাদন ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে। নতুবা ভাইরাসের সংকট মোকাবেলার পর বিশ্বে তৈরি হবে নতুন এক সংকট। সোজা কথায় ভাইরাসে বিশ্বে থাকবে যেমন অর্থনৈতিক সংকট তেমনি সাথে থাকবে খাদ্য সংকট। এই সংকটে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরাজ করবে মন্দাভাব সাথে প্রায় প্রতিটি দেশেরই অর্থনৈতিক অবস্থা থাকবে হুমকিতে।
মুলত বিশ্বে ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাওয়া,কৃষি উৎপাদন ব্যহত হওয়া ,আমদানি ও রফতানি চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতি হুমকিতে পরতে যাচ্ছে। তবে এর উত্তরনে ভেদাভেদ ভুলে একযোগে বিশ্ব কাজ করলে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।