স্টাফ রিপোর্টার: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ লকডাউনে রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশেও লকডাউন থাকায় প্রচুরসংখ্যক মানুষের কর্ম নেই। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দিনমজুর ও অসহায় মানুষ।
সব কিছু বন্ধ থাকায় কাজের চাহিদা ও ব্যবসা বাণিজ্য নেই। ফলে এমন জরুরি পরিস্থিতিতে খাবার, বাসা-ভাড়াসহ আর্থিক সংকটে পড়েছেন হাজারও মানুষ ।
এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় আবারও উপহার প্রদান ও করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে আসছে এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশন।
১৩ মে বেলা ১১টায় এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশন কার্যালয়ে অর্ধশত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
খাদ্য সহায়তার মধ্য রয়েছে মিনিকেট চাল,আলু,পিয়াজ,ডাল,চিনি,চিড়া,বুট,মুড়ি,সেমাই, সাবান,মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
এই দুর্যোগকালীন সময়ে দ্বিতীয় বারের মতমত এগিয়ে এসেছে এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
সদস্যদের অার্থিক সহায়তায় এ উপহার প্রদান করা হয়। যারা সহোযীতা করেছেন তাদের কে ধন্যবাদ জানিয়েছে এফ এফ এর বিডি ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ।
এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশনের এ ধরনের কার্যক্রম সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছে।
বিতরনকালে উপস্থিত ছিলেন স্পার্ক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আনোয়ার হুসাইন ,সমবায় কর্মকর্তা কামরুল আহসান,
এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মামুনুর রশীদ নোমানী, কোষাধ্যক্ষ নাজমুল সানী, শোভন সাহা, সদস্য কাওসার, সৈয়দা সুলতানা হ্যাপী ,সোহেল রানা,মমতাজ,নুসরাত প্রমুখ।
কার্যক্রম সম্পর্কে মামুনুর রশীদ নোমানী বলেন, ‘এই দু্র্যোগ মুহূর্তে যেসব ভাই ও বোনেরা খাদ্য সংকটে আছেন তাদেরকে সহায়তার জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাধ্য অনুযায়ী আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছি। সেই সাথে বিত্তবানদের অনুরোধ করব তারা যেন তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন।
চলমান এই সংকটে যারা দিনাতিপাত করছেন তাদের যথা সম্ভব সাহায্য করুন।
পুরো পৃথিবী নভেল করোনাভাইরাসে আজ বিপর্যস্ত, তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত ইউরোপ মহাদেশ। ইতালি, স্পেন, জার্মান, ফ্রান্স তৈরি হয়েছে মৃত্যুপূরীতে! এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও আতংক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য,৪ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে এফ এফ এল বিডি ফাউন্ডেশন বরিশালে খাদ্য সহায়তা ও করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্য্যক্রম শুরু করে।
ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা, সামর্থ্য অল্প ।
যতটুকু পারি, যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে আসি,
কাজ ক্ষুদ্র হোক কিন্তু তা যদি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয় তবে হৃদয়ে কেমন যেন একটা অনুভূতির সৃষ্টি হয়। আসুন, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাল কাজে বদলে দেই নিজেকে।
এই করোনা দুর্যোগ মুহুর্তে অসহায়দের সহযোগীতা করুন। যার যা সমর্থন আছে সে অনুযায়ী এগিয়ে আসুন আপনিও।