ঢাকা টু ভোলার বেতুয়া নৌরুটে চলাচলকারী কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে কিশোরীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অবশেষে ওই লঞ্চের বাবুর্চির বিরুদ্ধে থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় মামলাটি দায়ের করলে অভিযুক্ত আসামী গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন পুলিশ। সে কর্ণফুলি ১৩ লঞ্চের বাবুর্চি ও ভোলার চর শিফলী খেয়াঘাট ১নং ওয়ার্ড এলাকার মোঃ তাজল মাঝির ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার তজুমদ্দিন স্লুইজঘাট থেকে কাজের সন্ধানে ঢাকা যাওয়ার জন্য কর্ণফুলি-১৩ লঞ্চে উঠে পায়ের ময়লা ধোয়ার জন্য লঞ্চের পিছনে যায় ওই কিশোরী। টিউবওয়েলে পা ধুয়ে টয়লেটের সামনে দাঁড়ালে লঞ্চের বাবুর্চি হোসেন ওরফে গিয়াস উদ্দিন ওই কিশোরীকে দুইশত টাকার বিনিময়ে তার সাথে কেবিনে রাত্রি যাপনের কু-প্রস্তাব দেয়। এতে কিশোরী রাজি না হওয়ায় বাবুর্চি গিয়াস তার (কিশোরী) হাত ধরে জোরপূর্বক কেবিনে নিয়ে যেতে টানা-হেচড়া করেন। এ সময় ইজ্জত বাঁচাতে ওই কিশোরী তজুমদ্দিন চৌমুহনী সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে জেলেরা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক জানান, ঘটনার ৩ দিন পর ভুক্তভোগী কিশোরী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর আসামী গিয়াস উদ্দিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।