সাতক্ষীরার এক সমভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। শৈশব থেকেই গাছ লাগানো ভাল লাগত তার।এক সসময়ে সেই ভাললাগা টাই অকৃত্রিম এক ভালবাসায় পরিনত হয়ে যায়। আর সে ভালবাসাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে ফুল,ফল ও সবজির বাগান করে নিজেকে একজন বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর)মোঃ খাইরুল আলমের পত্নী দিলরুবা আলম। সাতক্ষীরা উপজেলা সদরে নিজ বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেন ছাদ কৃষি।
স্বামীর সংসারে এসেও নিজের বাড়ীর ন্যায় কৃষিপ্রেমী হিসাবে তার বাড়ির ছাদে গড়ে তুলেছেন ছাদ কৃর্ষি।তার ছাদ কৃর্ষিতে রয়েছে ড্রাগন, আম গাছ,জাম গাছ,পেয়ারা গাছ , আনারস,আঙ্গুর,আখ, লেবু, বেগুন গাছ ,চালকুমরা, লাল শাক,পুদিনা পাতা, ধনেপাতা.বনসাই,বাশ,ওষধি গাছ এলভেরা ,তুলশি পাতা।বাহারি ফুলের বাগান নাইট কুইন,কেকটাস সহ প্রায় ৬২ প্রজাতির ফুলের সমারোহ। এ বাগান পরিচর্যা করেই তিনি তার সময় কাটান ।এ সাফল্যের পিছনে রয়েছে স্বামী উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ খাইরুল আলম তার উৎসাহ ও প্রেরনায় যখন যে খানে যান সেখানেই গড়ে তুলেছেন ছাদ কৃর্ষি।
উপ-পুলিশ কমিশনার(উত্তর) খাইরুল আলম জানান,লক ডাউনের সময় ছাদ বাগান থেকেই বেশির ভাগ শাক সব্জি সংগ্রহ করেছেন।নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অন্যদেরকেও তাদের বাগানের শাক সবজি দিয়েছেন।
ডিসি পত্নী দিলরুবা আলম জানান,শৈশব থেকেই শখের বসে গাছ লাগাতেন। গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করাটায় আনন্দ পান তিনি।স্বামী ডিসি খাইরুল আলম তাকে উৎসাহ দেন এবং তার সাথে গাছের পরিচর্যা করে তাকে সহযোগিতা করায় বিভিন্ন প্রজাতির ফুল,ফল ও সবজির বাগান গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান,আজ আমাদের ছাদ বাগানের ড্রাগন ফল সংগ্রহ করেছি।এটা চাষ করা খুব সহজ। প্রত্যেকেরই এ রকম কৃর্ষি কাজের প্রতি এগিয়ে আসা উচিত।যেহেতু আমরা বিধাতা প্রদত্ব সোনার মাটি পেয়েছি তা ঠিক ভাবে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের আর কোন অভাব থাকবেনা। আমাদের দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জন করবে এবং একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে বলে তিনি মনে করেন।