বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

লালমোহনে কাউন্সিলর সিরাজ মাতাব্বরকে লাঞ্ছিত করায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

লালমোহনে কাউন্সিলর সিরাজ মাতাব্বরকে লাঞ্ছিত করায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:

ভোলার লালমোহনে কাউন্সিলর সিরাজ মাতাব্বরকে লাঞ্ছিত করায় পুলিশের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন।
লালমোহন থানার এস,আই শওকত জামিলের নেতৃত্বে একদল থানা পুলিশ পৌর ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও লালমোহন বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো: সিরাজ মাতাব্বর সহ প্রায় দশ পনেরো জনকে লাঞ্ছিত করে থানা নিয়ে আসার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন। কাউন্সিলর সিরাজ সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন , গতকাল রাতে মাদক ব্যবসায়ী মিরাজ কে ডিবি পুলিশ ধরতে আসলে মিরাজ ডিবি পুলিশকে পিটিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা আমার জানা ছিল না। কেউ আমাকে বলেওনি, আমি প্রতিদিনের মত রাত অনুমান সাড়ে দশটা থেকে এগারোটার মধ্যে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় আসি। রীতিমতো খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি, হঠাৎ রাত ২ টা নাগাদ এলাকার লোক এসে ডাক চিৎকার করে ঘরের দরজা পিটান আর বলে পুলিশ ঘরে ঘরে গিয়ে নারী পুরুষদের মারধর করছেনএবং তাদেরকে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন, এই কথা শুনে সাথে সাথে খালি গায়ে বের হয়ে আসি, গিয়ে দেখি এলাকার নারী-পুরুষসহ প্রায়১০/১৫ জনকে থানা নিয়ে রওয়ানা হয়েছে পুলিশ । তখন এস,আই শওকত জামিল কে জিজ্ঞাসা করলাম ভাই ঘটনা কি এদেরকে কেন ধরে নিয়ে যাচ্ছেন , এরা নিরীহ মানুষ,আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমি কিছুই জানিনা, এসময় শওকত জামিল আমাকে বললো শালা তুই কি কিছুই জানিসনা, একথা বলার সাথে সাথে আমি কিছু বুঝে উঠার আগে ঠাস ঠাস করে সে আমার গালে চার-পাঁচটা থাপ্পর মারে, পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাকে লাঠি চার্জ করে এবং লাথি দিয়ে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়, পরে আমাকে টেনে হেছরে পুলিশের গাড়িতে উঠিয়ে থানা নিয়ে আসেন। পরে ওসি সাহেব খোজখবর নিয়ে দেখে আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত না তাই রাত্র অনুমানিক তিনটার দিকে আমার ছেলের কাছ থেকে মকলেছা নিয়ে আমাকে এবং আমার সাথে যাদের কে থানায় এনেছেন তাদেরকেও ছেড়ে দেন। মাদক ব্যবসায়ী মিরাজ আমার ভাই না। গত ২০ বছর যাবৎ তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। সে আমাদের থেকে অনেক দূরে, আমি সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি। আমি আরো দুইবার তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেই। পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়, আমরা কি করব, পুলিশ তাকে ধরতে এসে না পেয়ে,, আমাকে এবং আমাদের এলাকার মা বোনদের গায়ে হাত দিয়েছেন। আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করি। আমার মেয়র মহোদয় এখানে উপস্থিত আছেন। আমি তাৎক্ষণিক রাত্রে তাকে জানাই। সে আমাকে শান্ত থাকতে বলেন। মেয়র মহোদয় বলেন আমি ঢাকা থেকে রওনা হয়েছি, আমি আসলে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনবো । আমার ছেলে আমাদের প্রিয় অভিভাবক ভোলা-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন মহোদয়কে ঘটনাটি অবগত করেন। হয়তোবা এমপি মহোদয় ওসি সাহেব কে জিজ্ঞাসা করেছেন। ঘটনা কি বা কেন তাদেরকে মারধোর করে ধরে নিয়ে আসলেন। ঘটনাটি মিথ্যা হওয়াই আমার মনে হয়, তাই আমাদের ছেড়ে দিয়েছেন। এদিকে ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে লালমোহন পৌরসভার মেয়র হাজী এমদাদুল ইসলাম তুহিন ও পৌরসভার সকল কাউন্সিলরগণ সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেনএবং বলেন আমরাএ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জেলা পুলিশ সুপারকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাবো।

পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজ মাতাব্বরকে মারপিট প্রসঙ্গে লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর জানান, তার সাথে সেরকম কিছুই হয়নি। তিনি উল্টো পুলিশকে ধাক্কা দেয়। তারপরও আমার অজান্তে কিছু হয়ে থাকলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিব । তবে
রোববার রাত অনুমান ৯টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মর্যাদার এক কর্মকর্তার সাথে লালমোহন পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের চরছকিনা এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানে যান ডিবি পুলিশ। সেসময় আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী মিরাজকে ধরতে কৌশল অবলম্বন করতে ডিবি সদস্য আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এক পর্যায়ে ইয়াবাসহ হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেন। এসময় মিরাজের স্ত্রী কহিনুর, মিরাজের সহযোগি মাসুম এগিয়ে এসে ডিবি পুলিশের উপর হামলা চালায়। মাসুম ইট দিয়ে ডিবির কনস্টেবল কাওসার হোসেনকে মাথা থেতলে দেন এবং বেধম মারধর করে পালিয়ে যায়। মাদক ব্যবসায়ী মিরাজের বিরুদ্ধে ৬/৭ টি ইয়াবা মামলা রয়েছে। এর আগেও ২৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে মিরাজকে। রোববারের ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই শংকর বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৬জনকে চিহ্নিত করে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় মামলা দায়ের করেন।

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech