প্রেমিকের দেয়া উপহার আংটি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন প্রেমিকার পরিবার সে সাথে পরিবারের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন পরিবার। এরই জের ধরে প্রেমিককে অপমান ও তার দেয়া উপহারকে অপমান করায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে রাগে ক্ষোভে নিজ শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়া কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার ইবা (১৮)।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক মিঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুমাইয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। তার পিতার নাম মোজাম্মেল হক মিঝি। মোজাম্মেল হক পাতা বুনিয়া হাইস্কুলের নাইটগার্ড হিসেবে কর্মরত আছেন।
এদিকে ঘটনার প্রকৃত কারণ লুকিয়ে তা অন্য খাতে উপস্থাপন করছেন সুমাইয়ার পরিবার। শ্যামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য হেলালসহ স্থানীয়রা জানান, সুমাইয়ার সাথে ক্লোজার বাজার সংলগ্ন একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভালোবেসে ছেলেটি তাকে একটি আন্টি দিয়েছিল।
যা মেয়েটির আঙুলে ছিল। সম্প্রতি সুমাইয়ার পরিবার অন্যত্র তাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। এবং প্রেমিকের দেয়াআংটিটি ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বৃস্পতিবার তাকে মারধর করা হয়।
এরই জের ধরে পরিবারের উপর অভিমান করে রাগে ক্ষোভে শুক্রবার বিকেলে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। নিহত অবস্থায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকেলে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে সুমাইয়ার পরিবার জানায়, বৃস্পতিবার রাতে সুমাইয়ার ১০ বছরের ছোট ভাইয়ের সাথে তার ঝগড়া হয়। এনিয়ে কথা কাটাকাটি হলে রাগে ক্ষোভে সে আত্নহত্যা করে।
রোববার দুপুরে সরেজমিন সুমাইয়ার বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলে তাঁর মৃত্যুর কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি পরিবার। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন সুমাইয়ার পরিবার।
এবিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন, এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সেসময় উক্ত ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।