ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে লটারি পদ্ধতিতে ভর্তি তালিকায় এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম এসেছে। গত কয়েকদিন ধরে বিষয়টি নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়াও তৃতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণির ফলাফল শিটে ১৭ শিক্ষার্থীর নাম এক শব্দে রয়েছে। এই এক শব্দের নাম আসা শিক্ষার্থীরা একাধিক আবেদন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে ওই স্কুলের ভর্তি ফরম বিক্রি শুরু হলে অভিভাবকরা এ বিষয়গুলো প্রধান শিক্ষককে অবহিত করেন।
জানা যায়, করোনার কারণে এ বছর সারাদেশে একযোগে গত ১১ জানুয়ারী সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে লটারিতে। ১১ জানুয়ারি অনলাইনে ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ফলাফল শিটে ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ডে শিফটে মোঃ নিহাদ হোসেন তামিম নামে এক ছেলে শিক্ষার্থীর নাম চলে আসে।
এ বছর সরকারি স্কুলে লটারির মাধ্যমেই যেহেতু ভর্তির যোগ্যতা নির্ধারণ হয়েছে, তাই বালিকা বিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া এই ছাত্র ভর্তি করা হবে কি না জানতে চাইলে ভোলা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, মেয়েদের স্কুলে ছেলেদের ভর্তির বিষয়টি অসম্ভব। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।
এদিকে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হওয়ার পর থেকেই এক শিক্ষার্থী একাধিক আবেদন করছে বলে অভিযোগ ওঠে। লটারির ফল প্রকাশের পর তালিকায় ১৭ শিক্ষার্থীর নাম এক শব্দে আসায় অভিযোগ আরো জোড়ালো হয়। যেমন-জুঁই, জারা, তাহা, আফিন ইত্যাদি। এতে করে অনেকে মেধাবি শিক্ষার্থী লটারির রেসে বাদ পড়েছেন বলে বলছে অভিভাবকরা