বিজ্ঞপ্তি:
দৈনিক শাহনামার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। জাতীয়, রাজনীতি, খেলাধুলা, বিনোদন সহ সকল সংবাদের সর্বশেষ আপডেট জানতে ভিজিট করুন www.shahnamabd.com

বরিশালে ১৮ ফেব্রুয়ারী সমাবেশ করবে বিএনপি

বরিশালে ১৮ ফেব্রুয়ারী সমাবেশ করবে বিএনপি

দীর্ঘদিন বিরতির পর আবারও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ও করোনা মহামারির সময়ে শুধু সাংগঠনিক তৎপরতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে দলটি।

তবে এবার ধীর পদক্ষেপে দলকে রাজপথে নিয়ে আসতে চাচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এর অংশ হিসেবে ছয় মহানগরে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

সরকারের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে পালিত হবে এ কর্মসূচি।

এর মধ্যে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৮ ফেব্রুয়ারি বরিশালে, ২৭ ফেব্রুয়ারি খুলনায়, ১ মার্চ রাজশাহীতে, ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর উত্তর এবং ৪ মার্চ ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সমাবেশ করা হবে।

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার।

দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিগত সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

এ সময় মজিবর রহমান সরোয়ার বলেন, আমরা জনতার সামনে ভোট কারচুপির বিষয়গুলো তুলে ধরতে চাই, ভোটের অধিকারের কথা বলতে চাই, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলতে চাই।

আমাদের যেন জনগণের কাছে যেতে বাধা না দেওয়া হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে আমরা এ সমাবেশ করতে চাই।

তিনি বলেন, কোথাও নির্বাচন হয় না। নৌকা প্রতীকের সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্রের আঁতাত হয়েছে। তারা মনেই করে, নৌকা প্রতীক যখন দিয়েছে তখন প্রশাসন-আওয়ামী লীগ সবাই ভাই ভাই।

আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট চাই, জনগণকে তাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক- এটি আজ আমাদের বড় দাবি।

এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা ভেবেছিলাম সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে, চট্টগ্রামে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

কিন্তু এ নির্বাচনেও রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রশাসনযন্ত্র, আওয়ামী লীগ ও সরকার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ব্যালট প্যানেলের সুরক্ষা ছিল না।

ব্যালট প্যানেল দখল করে ভোট চুরি করা হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা ২০ শতাংশ ভোট নিজেরা দিয়ে ভোট ডাকাতি করেছেন। এরপরও তারা সাড়ে ২২ শতাংশ ভোট দেখিয়েছেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, আমাদের ঘোষিত ৬টি মহানগরে সমাবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হবে। জনগণ আমাদের প্রধান শক্তি। আমরা তাদের কাছে আপিল করব- একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই।

রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, যেভাবে নির্বাচন হচ্ছে এটা চলতে থাকলে জনগণের ভোট বলে আর কিছু থাকবে না। প্রত্যেক নির্বাচনে সরকার ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব প্রতিষ্ঠান মিলেমিশে একাকার হয়েছে। তারা দেশে একের পর এক নির্বাচনের নামে প্রহসন করে যাচ্ছে। ইউপি নির্বাচনে পর্যন্ত রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে আঁতাত হচ্ছে। সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়।

ঢাকা উত্তরের সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এক বছরপূর্তি হতে যাচ্ছে। এটা একটা তামাশার নির্বাচন হয়েছিল। প্রত্যেকটি নির্বাচনের চিত্র একই।

জনগণকে জোর করে ভোট বিমুখ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যেখানে জনগণ চাচ্ছে তাদের ভোটের অধিকার নিজেরা রক্ষা করার জন্য, ভোট দেওয়ার জন্য; সেখানে গুন্ডা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে বের করে দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের জনমত গড়ে তুলতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণের ধানের শীষের প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেন, এই সরকারের অধীনে দেশে আরও হাজারটা নির্বাচন করলেও তা সুষ্ঠু হবে না। এ জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রে আর কোনোদিনও ফেরত যাবে না।

গত সোমবার দেশের ৬ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের সঙ্গে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন। ইশরাক হোসেনের উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। পরের দিন মেয়র প্রার্থীরা নিজেরা বৈঠক করে এসব কর্মসূচি নির্ধারণ করে তারেক রহমানকে অবহিত করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অনুপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা জানান, পারিবারিক কারণে তিনি খুলনা চলে গেছেন। সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত থাকলেও বক্তব্য দেননি।

বরিশালে ১৮ ফেব্রুয়ারী সমাবেশ করবে বিএনপি

Please Share This Post in Your Social Media




All rights reserved by Daily Shahnama
কারিগরি সহায়তা: Next Tech