বরগুনার বেতাগীতে শনিবার গভীর রাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে। গত ১০ দিন যাবৎ এখানে রাত থেকে সকাল ১০/১১টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকে। গত কয়েক দিন যাবৎ ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যায়। ফলে আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, একটানা এভাবে ঘন কুয়াশার কারণে আমের ফলন কম হবার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। বেতাগীর গ্রামগুলোতে ঘন কুয়াশায় এতটাই ঢাকা ছিল যে সামনে কিছুই দেখা যায় না।
এখন এ উপজেলার গ্রামগুলোতে গাছে গাছে আমের কুঁড়ির দেখা মিলছে এবং কোন কোন গাছে ঝুলছে তরুণ আমের থোকা। কুয়াশার কারণে আমের মুকুল বা কুঁড়িতে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। আমের মুকুল ঝড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিষয়ের সদ্য কোর্স সম্পন্নকারী কৃৃষিবিদ লিটন কুমার ঢালী বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে আমের মুকুল ঝড়ে যাবে।
এ বিষয় বেতাগী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ফাল্গুন মাসের শেষে একটানা কয়েকদিন ঘন কুয়াশা পড়লে আমের মুকুল ঝড়ে যাবে। এতে আমের ফলন কম হবে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিষয়ের গবেষক ড. সন্তোষ কুমার বসু বলেন, আমের মুকুল বের হওয়ার পর পরই একটানা ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল ঝড়ে যাবে।
এছাড়া যেসব গাছে মুকুল থেকে ছোট ছোট আম ধরেছে, এতে ছত্রাক জন্মে পচঁন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, ঘন কুয়াশা যে সময় পড়বে ওই সময় আমের মুকুলে বা থোকায় থোকায় ছোট আমে পানি দিতে হবে, তাহলে ঝড়ে পরা রোধ হবে।