পদোন্নতি ও বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনায় শত মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বরিশাল রেঞ্জের সদ্য সাবেক ডিআইজি ও সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম। আজ মঙ্গলবার (২৫ মে)বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে পদোন্নতি ও বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনায় বিদায়ী অতিথি অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম রেঞ্জের মানুষকে ভালোবাসা-কান্না-হাসির এক মিশ্র অনুভূতিতে সিক্ত করে বিদায় নিলেন।
বিদায় বেলার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি তার সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা মূলক আদেশ-উপদেশ আকাঙ্খা প্রকাশ করে গেছেন। পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হোক, মানুষ পুলিশকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করুক, সাধারণ মানুষ পুলিশকে যেন বন্ধু মনে করে- এমন স্বচ্ছ পুলিশিং সেবার কথা তিনি গ্রথিত করে রেখে গেছেন সহকর্মীদের মনে।
সেবার পরম ব্রত নিয়ে তিনি বরিশাল রেঞ্জে এসেছিলেন; এখানকার মানুষকে ভালোবেসেছিলেন। আর প্রিয় মানুষগুলোকে আর সচরাচর না দেখতে পাওয়ার জন্য যে প্রচণ্ড খারাপ লাগা তা তার চোখে-মুখে-ভাষায় স্পষ্ট ছাপ রেখেছে।
তার একটি প্রশ্নে উপস্থিত সকলের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে- আমি কে এমন যে, আমি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় যাবো না?
একজন চৌকস, দক্ষ, অভিজ্ঞ আর বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশিং আর্ট এর শিক্ষক খ্যাত বিদায়ী অতিথি অতিরিক্ত আইজিপি সর্বদা পুলিশ-পাবলিক দূরত্ব দূর করার মানস নিয়ে মানুষের সেবায় কাজ করে গেছেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার এই বিদায়ী সংবর্ধনায় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে যথার্থ বলেছেন, পুলিশী সেবাকে সাধারণ মানুষের আস্থায় নিয়ে যাওয়া, কর্মজীবনে দক্ষতা আর গতিশীলতার সমন্বয় করা একজন সফল মানুষ আমাদের বিদায়ী অতিথি অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ শফিকুল ইসলাম ।সেবার কোমলতায় একজন মানবিক পুলিশ; অপরাধ ও দুষ্টের দমনে কঠোরতায় পর্বতের মতো অটল, বরিশাল রেঞ্জের গণমুখী পুলিশিং এর একজন অভিভাবক আজ পদোন্নতি ও বদলিজনিত কারণে বিদায় নিলেন।
বিদায়ী সংবর্ধনায় উপস্থিত হয়ে স্মৃতিচারণ করেন বরিশাল জেলাপ্রশাসক, বিএমপি কমিশনার, ববি’র উপাচার্য, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) এর অধ্যক্ষ, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ, র্যাব-৮ এর সিও, ১০ম এপিবিএন এর সিও, ডিজিএফআই, বরিশাল এর কর্ণেল জিএস এবং রেঞ্জের সকল জেলার পুলিশ সুপার, সকল ইউনিটের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।