বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হত্যা, ডাকাতি, লুটপাট, ধর্ষনচেষ্ঠা মাদকসহ বিভিন্ন মামলার আসামী ৬নং ফরিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য জহিরুল  ইসলাম মামুন  ওরফে হাতকাটা মামুনকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালীর জেলার  বাউফল উপজেলার কালিশুরী গ্রাম থেকে গতকাল রাতে দুই সহযোগীসহ তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গ্রেপ্তার করে। বাকেরগঞ্জের ফরিদপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সম্পাদক ও তিন নম্বর ওয়ার্ড মেম্বর মামুন এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নামে পরিচিত। হত্যাসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ২০ টি মামলা চলমান রয়েছে।

পটুয়াখালী ডিবি পুলিশের ওসি মো:শাজাহান খান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কালিশুরী বাজারে অভিযান চালিয়ে মামুনকে ৫৯ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর মামুন নিজেকে যুবলীগ নেতা ও মেম্বর পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মাদক সরাসরি তার কাছে পাওয়ায় কোনো প্রকার সুযোগ ঘটনাস্থলে না দিয়ে কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এবং এই ঘটনায় রাতেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা পরবর্তীতে তাদের বাউফল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাউফল থানা পুলিশের অফিসার ইন চার্জ আল মামুন সত্যতা নিশ্চিত করে করেন জানান, শোনা যাচ্ছে মামুনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা চলমান আছে। সেগুলো সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশকে তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এদিকে সন্ত্রাসী হাতকাটা মামুন গ্রেফতার হওয়ার খবরে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্হানীয় ফরিদপুর ইউপি চেয়ারম্যান এস এম শফিকুর রহমান জানান হাতকাটা মামুন আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মহিউদ্দীন হাওলাদার হত্যাকাণ্ডসহ কমপক্ষে দুই ডজন মামলার আসামী তার নিজস্ব একটি সন্ত্রাসী ও মাদক বিক্রেতা বাহিনী রয়েছে যারা লুটপাট, জমিদখল, মাদক বিক্রি সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। আমার ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ এদের ভয়ে আতংকিত থাকে তিনি সরকারের কাছে এই সন্ত্রাসীর সকল মামলার দ্রুত বিচার কামনা করেন।