বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীর ডিসি ঘাট, চরকাউয়া খেয়াঘাট সহ বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনাকালে ৫ অবৈধ স্পিডবোট চালককে আটক করা হয়। এছাড়া সার্ভে এবং রেজিস্ট্রেশন বিহীন অবৈধ ড্রেজার, বালুবাহী বালহেন্ড, যাত্রীবাহী নৌযানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে লাইসেন্স, সনদ ও জীবনরক্ষা সাগ্রমী না থাকার দায়ে তাদেরকে ১০ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আটককৃতরা হলো, রুবেল, জুয়েল, ইয়ামিন, মিরাজ ও রুবেল।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসান লিটন। অভিযানে বরিশাল কোস্টগার্ড, র্যাব-৮ ও নৌ-পুলিশ সহায়তা করে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তর বরিশালের চীফ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুর রহমান জানান, নৌ-নিরাপত্তা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ নৌযান চলাচল বন্ধ করার জন্য সঠিক পথে সঠিক নৌযান চলাচলের জন্য এই অভিযান। সকাল থেকে ৫টি অবৈধ স্পিডবোট আটক করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিেেস্ট্রট বদরুল হাসান লিটন বলেন, আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখানে আমরা ৫টি অবৈধ স্পিডবোট আটক করেছি। এছাড়া ড্রেজার, বালুবাহী বাল্কহেড, যাত্রীবাহী নৌযানে অভিযান পরিচালনা করছি। লাইসেন্স, সনদ ও জীবনরক্ষা সামগ্রী না থাকায় ৫টি নৌযানের বিরুদ্ধে আইসিও ১৯৭৬ এর ৩৩, ৫৬ ও ৬৬ ধারায় জরিমানা করা হয়েছে এবং ঐ ৫ স্পীডবোটের চালককে আটক করা হয়েছে।