বরিশালের কালিজিরা নদীর তীরে পন্যবাহী নৌযান নোঙ্গর করার সুযোগ দিয়ে ওই এলাকায় ফের ব্যবসা করার সুযোগ দিতে সিটি করপোরেশনে আবেদন করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বুধবার নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমাউন কবিরের নেতৃত্বে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এই আবেদন করেন।
এ সময় তারা বলেন, কালিজিরা নদীর ওপর নির্ভর করে ৩ দশক আগে স্থানীয় বাজার সংলগ্ন নদীর তীরে নির্মান সামগ্রী এবং বিভিন্ন কোম্পানীর গোডাউন গড়ে ওঠে। সিটি করপোরেশন নদী তীরের সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় এক বছর আগে ওই নদী দিয়ে পন্যবাহী নৌযান চলাচল এবং নদীর তীরে সেগুলো নোঙ্গর করতে মৌখিক নিষেধ করে। পন্যবাহী নৌযান নোঙ্গর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকায় হয়ে পড়েন স্থানীয় কয়েকশ শ্রমিক। বেকায়দায় পড়েন নির্মান সামগ্রী ব্যবসায়ী এবং গোডাউন মালিকরা।
এ অবস্থায় ফের কালিজিরা নদীতে কর্গো চলাচল ও নদীর তীরে কার্গো নোঙ্গর করতে দেয়ার দাবীতে গত ২৬ আগস্ট সিটি মেয়রের কাছে আবেদন করেন স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা। আবেদনে সাড়া না পেয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর কাছে ফের একই আবেদন করেন তারা।
নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমাউন কবির বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে উদ্বুত সমস্যার সমাধান না হলে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কালিজিরা নদীর তীরে পণ্যবাহী কর্গো নোঙ্গর করা হবে। এতে কোন অনাকাংখিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এর দায় বিসিসিকে বহন করতে হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. কায়কোবাদ জানান, বিসিসির দায়িত্ব হচ্ছে যানবহন চলাচল উপযোগী সড়ক তৈরী করে দেয়া, যানবাহন বন্ধ করে দেয়া নয়। তিনি নদী তীরের সড়কে ভারী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য সিটি করপোরেশনের প্রতি আহবান জানান।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমদ বলেন, কালিজিরা এলাকার ব্যবসায়ীরা তাকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বরিশালে আসার পর তার সাথে ব্যবসায়ীদের আলোচনা করে এ বিষয়ে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।