নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন নগরীর এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা। স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন মামলা-হামলা করে বরিশাল ছাড়া করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। পুড়িয়ে ফেলেছেন ছাগলের খামার। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবী করেছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার সাচিব রাজিব। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পরে তিনি বরিশাল সদর আসনের সাংসদ ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের অনুসারী হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে হয়রানি করছেন। মূলত ২১ নং ওয়ার্ডের মুসলিম গোরস্থান রোডের কাসেমিয়া মসজিদের উত্তর পাশের পন্ডিত বাড়ি তাদের। সেখানে তার পিতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের ৮.৬৫ শতাংশ জমি রয়েছে। ২০০৭ সালে নজরুল ইসলাম কানাডা চলে গেলে বড়ে মেয়ে চ্যানেল আই বরিশালের প্রতিনিধি শাহীনা আজমীন পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি পান। তিনি সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কে থাকেন। শাহরিয়ার সাচিব রাজিব বলেন, শাহীনা আজমীন আপা ছাড়া আমার অন্যান্য সকল ভাইবোন ঢাকা এবং বিদেশে থাকেন। আমি ২১ নং ওয়ার্ডের বাড়িতে থাকি বিধায় স্থানীয় প্রতিবেশী আক্তারুজ্জামান আমাকে উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এর সাথে যুক্ত হয়েছে আমার ফুফাতো ভাই শাহরিয়ার সালাউদ্দিন সাদি। তারা আমাকে, আমার আব্বাসহ পরিবারের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আসছে। তারা স্বীকার করেন, ওই বাড়িতে তারা কোন জমি পাবেন না। কিন্তু হয়রানি বন্দ করেন না। কারণ হয়রানির শিকার হয়ে আমি বাড়ি ছেড়ে বিদেশ বা ঢাকা চলে গেলে জমি তারা দখলে নিতে পারবেন। এজন্য পরিকল্পিতভাবে হয়রানি করছেন। এতে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকেও যুক্ত করে নিয়েছেন আক্তারুজ্জামন ও শাহরিয়ার সালাউদ্দিন সাদিরা। সর্বশেষ ১০ অক্টোবর (রোববার) আমার বাড়িতে করা ছাগলের খামারের নিরাপত্তায় স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। কারন জানতে চাইলে তিনি সন্ধ্যায় লাইন লাগিয়ে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু সন্ধ্যায় সিসি ক্যামেরার লাইন যুক্ত না করে দিয়ে উল্টো আমার ছাগলের খামারে আগুন ধরিয়ে দেন। এ বিষয়ে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর আগেও তারা আমাদের দেওয়াল ভেঙেছে। নানান ধরণের হুমকি দিচ্ছে। শাহরিয়ার সাচিব রাজিব বলেন, প্রশাসন আমাকে আশ্বাস দিয়েছে তারা সুষ্ঠ তদন্ত করবেন। আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। একই সাথে আমাকে উৎক্ষাতে পরিকল্পিতভাবে যে হয়রানি শুরু হয়েছে তা বন্ধ করা হোক।