মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা থেকে।।
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামী মোঃ তছির এর বিরুদ্ধে। দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় প্রতিনিয়ত মারধর করা হতো এমনটাই অভিযোগ ২ সন্তানের জননী ভুক্তভোগী নাছরিন বেগম (২৪) ও তার পরিবারের।
নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর কলনী এলাকায় শ্বশুড় বাড়িতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ নাছরিনকে মারধর ও নির্যাতন করে তার স্বামী মোঃ তছির (২৭) ও তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ নাছরিন বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
আহত গৃহবধু নাছরিন বলেন, আমাদের বিয়ে হয় বিগত ৮ বছর আগে, বিয়ের পর থেকেই আমার বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। তার চাপের কারনে আমি আমার বাবা থেকে অনেক বার টাকা, গরু, ছাগল আইনা দিছি । তারপর আবার ও আমাকে মারধর করে, মারধর সহয্য করতে না পেরে সর্বশেষ গত বছর ১ লক্ষ টাকা আইনা দেই। সেই টাকা দিয়ে দোকানে মাল উঠায়, দোকানের মাল শেষ হয়ে গেলে আবার ও টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। আমার বাবার অবস্থা ভালো না তাই টাকা দিতে পারি নি। তাই পোলার উছিলা দিয়ে শুক্রবার বিকালে আমাকে বেধর মার মারছে।
আহত নাছরিন এর বাবা হারুন বলেন, মেয়ের বিয়ের পর থেকে জামাই তছির যৌতুকের জন্য মেয়ের উপর নির্যাতন চালায়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আমি ৮৫ হাজার টাকার গহনা দেই, এর পর ৭০ হাজার টাকার একটা গরু কিনে দেই। তারপর ও মেয়ের উপর নির্যাতন চলতে থাকে, গত বছর আমি ১ লক্ষ টাকা দেই, তারপর ও গত কাল টাকার জন্য মেয়ে টার উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়।
মদনপুর ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক মেম্বার জানান, এর আগে এ ঘটনার জন্য কয়েকবার গ্রাম্য শালিশ করেছি, কিন্তু কয়েকদিন পর পর এই ঘটনা ঘটে। গত কাল বিকালে আবার ও মেয়ে টা কে মারধর করে, মেয়েটা এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছে। মেয়েটা সুস্থ হলে আমরা এর একটি সুষ্ঠ বিচার করে দিবো।
এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত স্বামী তছির এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠো ফোন টি বন্ধ পাওয়া যায়। ফোন বন্ধ থাকার কারনে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয় নি।
উক্ত ঘটনায় দৌলতখান থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন