লালমোহন( ভোলা)প্রতিনিধি :
ভোলার লালমোহন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন এর বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্ণীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদেরকে এনে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত দূর্ণীতির তদন্ত শুরু করেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার শিক্ষা অফিসার (প্রশাসন) মুজিব আলম, বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন, ভোলা জেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান। তদন্তকারী কর্মকর্তা মুজিব আলম বলেন, শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ফজলু নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করেছি। আগামীকালকে প্রত্যেক স্কুলে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে জানবো। আমাদের তদন্ত অব্যাহত থাকবে, দূর্নীতির সত্যতা প্রমাণ পেলে কেউ ছাড় পাবে না।
গত ২ ডিসেম্বর ২০২১ইং তারিখে স্থানীয় ফজলু লালমোহন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আক্তারুজ্জামান মিলন এর বিরুদ্ধে তদন্ত চেয়ে দূর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)ভোলা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মীরপুর-২, ঢাকা-১২১৬, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন, লালমোহন পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের ছবি বাধাঁই ঘরের সত্ত্বাধিকারী মোঃ ফজলু।
তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে লালমোহন উপজেলার ২০৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার ও শেখ রাসেল কর্ণার ছবির জন্য প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ আসে। ফজলু উক্ত কাজটি পাওয়ার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত আবেদন করে। পরে তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান মিলন। দাবীকৃত দুই লাখ টাকা না দিতে পারায় উক্ত কাজটি তিনি অন্য একজনকে দিয়ে দেন। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের দেয়া বরাদ্দের অর্থ বিদ্যালয়গুলোর অনুকূলে ছাড় করার ক্ষেত্রে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরপূর্বে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে-২০১৮-১৯ অর্থ বছরে স্লিপ খাতের বরাদ্দ থেকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সরবরাহের অজুহাতে আলোচিত ঐ কর্মকর্তা ১৯১টি বিদ্যালয় থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এরপূর্বে সাতক্ষীর শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক দূর্ণীতির অভিযোগে আক্তারুজ্জামান মিলনকে লালমোহনে স্টান্ড রিলিজ করা হয়।