ঝালকাঠী প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি পশ্চিম ঝালকাঠি সংখ্যালঘু পাল
সম্প্রদায়ের টিকে থাকা একমাত্র পরিবারটিকে ভিটামাটি থেকে উৎখাতে
স্বন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বৃদ্ধ বেলা রানি পাল (৮৫) নামে এক নারী
গুরুত্বর আহত হয়েছে।
প্রতিবেশী ভুমিলোভী তহমিনা বেগমের পুত্র মো.তাওহীদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে। এঘটনায় আহত বেলা রানির পুত্র দুলাল কৃষ্ণ পাল সোমবার সকালে (২০ ফেব্রুয়ারী) ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সংখ্যালঘু বেলা রানি পালের পৈত্রিক সম্পত্তিতে
তারা শতর বছর ধরে বসবাস করে আসছে। কিছু দিন ধরে প্রভাবশালী মৃত আঃ রব
মিয়া ও তার স্ত্রী তহমিনা বেগমের পরিবার প্রতিবেশী সম্পত্তি দখলের জন্য
বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছিল।
তাদের উৎপাত থেকে রেহাই পেতে বেলা রানির পুত্র দুলাল কৃষ্ণ পাল গত ১৭ জানুয়ারী জমি পরিমাপের জন্য এবং ১৭ফেব্রুয়ারী দলিলসহ কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য ঝালকাঠি পৌর মেয়রের কাছে আবেদন জানায়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধ বেলা রানিকে হত্যার উদ্দেশ্যে
বাড়ীর সম্মুখে বাসন্ডা খালের পাড় থেকে ঘরে যাওয়ার পথে মৃত: রব মিঞার
পুত্র মো.তাওহীদ (৪৫), মেয়ে লাইজু বেগম (৩৫), মেয়ে জামাই মো.কুদ্দুস (৪২)
ও নাতী মো: রিফাত (১৮)সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ সন্ত্রাসী দেশীয় ধাড়ালো অস্ত্র ও
লাঠিসহ হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
কিছূক্ষনের মধ্যেই কাজ সেড়ে দুলাল
কৃষ্ণ পাল বাড়ী ফিরলে হামলাকারীদের চলে যেতে ও তার বৃদ্ধা মাকে রক্তাক্ত
দেখতে পায়। ছুটে এসে সে আশেপাশের লোক ডেকে মাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি
হাসপাতালে আনলে চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে তহমিনা বেগম ও তার মেয়ে লাইজু বেগম জানায়, আমাদের অভিভাবক আঃ রব মিয়া কয়েক দিন পূর্বে মৃত্যু বরন করায় পুরো পরিবারের সদস্যরা শোকাহত
দিন কাটাচ্ছি। এরমধ্যে রবিবার সকালে থানা পুলিশ এসে জানায় আমরা বেলা রানি
পাল কে মারধর করেছি। আসলে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের অন্যায় ভাবে ফাঁসানোর জiন্য এধরনের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঃ কুদ্দুস হাওলাদার জানায়,
সংখ্যালঘু পাল সম্প্রদায়ের টিকে থাকা একমাত্র পরিবারের বৃদ্ধ মহিলা বেলা
রানি পালের উপর হামলা খুবই দু:খজনক। পৌরসভা নিরপেক্ষ ভাবে দলিল যাচাই করে পরিমাপ করলে উভয়পক্ষই উপকৃত হতো।
এ ব্যাপারে থানার ডিউটি অফিসার জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেয়ে সড়েযমিন
তদন্ত করা হয়েছে। উর্ধতন কর্মকর্তার পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।