ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো আজ। অবশেষে ঢাকার সদরঘাট থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার ইলিশা বিশ্বরোড ঘাটে যাত্রী নিয়ে এলো গ্রীন লাইন-২ নামের দ্রুতগামী ওয়াটার ওয়েজ। মাত্র ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে ভোলায় আসায় যাত্রীদের চোখে-মুখে ছিল খুশির ঝিলিক।
এদিকে দ্রুতগামী এই ওয়াটার ওয়েজটি দেখার জন্য ইলিশা বিশ্বরোড ঘাটে ভিড় জমায় শত শত মানুষ। পরে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ওই ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় ওয়াটার ওয়েজটি।
গ্রীন লাইন-২ এর মালিক মো. আলাউদ্দিন জানান, ভোলার মানুষের কথা চিন্ত করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগের জন্য গ্রীন লাইন সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এটি প্রতিদিন ঢাকা থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় ও ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে দুপুর দেড়টার দিকে ছেড়ে যাবে। এটি ঢাকা থেকে ভোলায় আসতে সময় লাগবে চার থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা। আবার ভোলা থেকে ঢাকায় যেতেও একই সময় লাগবে।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার প্রথম দিন গ্রীন লাইন-২ ঢাকা থেকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ভোলায় আসে এবং ভোলা থেকে ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সঙ্গে ভোলার নৌপথে যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌযান। প্রতিদিন জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলা থেকে ১৪টি লঞ্চ ঢাকায় যাতায়াত করে। উভয় স্থান থেকে রাতেই এসব লঞ্চ চলাচল করছে এবং ভোরে গন্তব্যে গিয়ে পৌঁছে। ভোলার খেয়াঘাট থেকে নৌপথে ঢাকার দূরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। লঞ্চযোগে যেতে সময় লাগে ১১ ঘণ্টা। তবে গ্রীন লাইন ওয়াটার ওয়েজ চলাচল করবে ইলিশা ঘাট থেকে। এতে ৩০ কিলোমিটার পথ কমে দাঁড়াবে ১২৫ কিলোমিটারে। সাধারণ লঞ্চের চেয়ে কমপক্ষে ৪০৫ ঘণ্টা সময় কম লাগবে।
গ্রীন লাইন-২ ওয়াটার ওয়েজের বিজনেস ক্লাসে ২০০ সিট ও ইকোনমিক ক্লাসে ৬০০ সিট রয়েছে। বিজনেস ক্লাসের ভাড়া ১ হাজার ও ইকোনমিক ক্লাসের ভাড়া ৭০০ টাকা। দ্রুতগামী লঞ্চটি পুরোটাই ওয়াইফাই সিস্টেমের আওতায়। ক্যাটামেরান সার্ভিসের লঞ্চটি দুই হালের আটটি বক্স রয়েছে। আটটি বক্সের যেকোনো একটিতে পানি ঢুকে গেলে বাকিগুলো দিয়ে সচল থাকবে এটি।