ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে আপত্তিকর অবস্থায় এক কিশোর কিশোরীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইউনিয়নের ০৫নং ওয়ার্ড রৌদ্রেগো বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃত কিশোরীর নাম খাদিজা আক্তার (১৩)। সে শান্তির হাট ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী বলে জানা গেছে। তার পিতার নাম মোঃ সেলিম মাঝি।
কিশোরের নাম মোঃ সোহাগ (২০)। সে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চর আনন্দ গ্রামের ইসমাঈল মাঝির ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে সোহাগ ওই কিশোরীর বাড়িতে আসেন। নির্জন বাগানে দুজনকে তখন এলাকাবাসী আপত্তিকর অবস্থায় ধরেন। চারদিকে হৈ চৈ শুরু হলে ছেলের চাচা পন্ডিত ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে আসে। এসময় পারভেজ নামে স্থানীয় এক সেনাসদস্য দাপট দেখিয়ে অপ্রাপ্ত ওই কিশোরীকে বিয়ে দিতে চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন।
এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ওই সেনাসদস্যকে পেটাতে উদ্ধৃত হন। এলাকাবাসী জানান, একজন সেনাসদস্য হওয়ায় পারভেজ প্রায়ই ছুটিতে বাড়িতে এসে বিভিন্ন অপকর্মে জড়াচ্ছে এবং কোন মুরুব্বিকে সে সম্মান করে না। সে একজন বখাটে ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে কিশোর কিশোরীকে থানায় নিয়ে যান। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এনায়েত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়ের বয়স অপ্রাপ্ত হওয়ায় উভয় পক্ষের অভিবাবকদের এনে তাদের হাতে ছেলে মেয়ে হস্তান্তর করা হয়ে হয়েছে।