ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বেড়ি বাঁধের বাহিরে অবস্থিত পরিবারগুলো মাঝে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।
এদিকে আহাওয়া অফিস পায়রা সমুদ্র বন্দরকে স্থানীয় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপাদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্নিঝড় জাওয়াদ’র প্রভাবে আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ফলে গত দু’দিন ধরে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। রবিবার সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আর ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। রাস্তা ঘাটে তেমন মানুষের আনা গোনাও দেখা যায়নি।
তবে আবহাওয়া আফিস সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্নিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং দুর্বল হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এছাড়া চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে স্থানীয় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপাদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে।
কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, সাগর উত্তাল রয়েছে। জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে আড়ৎ ঘাটে শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে।