ডেস্ক রিপোর্ট ॥ পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিএনপির দুই গ্রুপ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১১ জন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের খুলনা মেডিকেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের বাবুরহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শেখমাটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মো. জহিরুল ইসলাম শেখ ও ইউনিয়ন যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান ভুইয়ার গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। আহতরা হলেন- বদিউজ্জামান (৪০), ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম (২৪), ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. সবুর সরদার (৪৫), মো. মাহবুব ভুইয়া (৬৫), স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. আল মামুন সরদার আজমীর (৪২), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহবিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. তায়জুল ইসলাম (৩৩), স্বেচ্ছাসেবক দলের এমাম ভুইয়া (২৫), যুবদলের রুহুল আমীন ভুইয়া (৩৫), ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচীব মো. জহিুরুল ইসলাম শেখ ও পলাশ শেখ (২৮)।
সংঘর্ষে আহত উপজেলা যুবদলের সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজমীর হোসেনকে সোমবার সন্ধ্যায় আটক করে ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচীব জহিরুল ইসলাম ও তার ভাই যুবলীগ কর্মী জাহিদসহ চার থেকে পাঁচজন। ওই সময় তার কাছে চাঁদা দাবি করে তারা। এ ঘটনা শুনে সেখানে গেলে জহিরুলের নেতৃত্বে তার ভাই ও তার গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। আমাদের দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন তারা। পরে খবর শুনে আমার আত্মীয় স্বজনরা সেখানে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। বিএনপি নেতা জহিরুল বলেন, ‘যুবদল নেতা বদিউজ্জামানের চাচা মাহাবুব ভুইয়া আমাকে গালাগালি করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ শুর হয়। কে কাকে মেরেছেন তা আমি জানি না।’ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অশেষ প্রতীম রায় বলেন, ‘গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’ এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’