কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে ঈদুল আজহা উদযাপন চলছে। সোমবার শ্রীনগরসহ কিছু এলাকায় কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে।
সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ফোনলাইন। তবে বেলা বাড়তেই জনশূন্য হয়ে পড়ে শ্রীনগরসহ অন্যান্য এলাকা। খবর এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকার।
ঈদের নামাজের জন্য জন্য বড় জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হয়নি। বরং মহল্লার মসজিদেই নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কাশ্মীরের জনজীবন কতটা স্বাভাবিক তা বোঝাতে সেই ছবিও সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
জম্মু-কাস্মীরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিসহ উপত্যকার বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদকেও স্থানীয মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে হাজার হাজার নিরাপত্তা রক্ষী কাশ্মীর উপত্যকায় রয়েছেন। ইন্টারনেট পরিষেবা এখনও বন্ধ রয়েছে সেখানে।
শ্রীনগরে ঈদ উদযাপনের জন্য কয়েকটি সাময়িক বাজার তৈরি করা হয়েছে এবং সবজি, এলপিজি সিলিন্ডার, হাঁস এবং ডিম ঘরে ঘরে মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের প্রধান সচিব রোহিত কনসাল জানান, সোমবার প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছেন। প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে শ্রীনগরে আসতে ইচ্ছুক এমন মানুষদের সুবিধার্থে আমরা সবরকম সাহায্য করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে সবরকম ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তবে সূত্র জানায়, পুলিশ লাউড স্পিকারের মাধ্যমে মানুষজনকে তাদের ঘরে ফিরে যেতে বলছে এবং দোকানপাট বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে।